সম্পাদকীয়(সংস্কার: নভেম্বর-ডিসেম্বর 2021)মহামারী। প্যানডেমিক। করোনা কাল। করোনায় কেড়ে নিল প্রায় দু'টি বছরের চেয়েও বেশি সময়। ২০২০ সালে করোনাকালের লকডাউনের কথা স্মৃতি হয়ে আজও সমাজের প্রতিটি মানুষের মধ্যে.......
বিস্তারিত পড়ুননভেম্বর-ডিসেম্বর2021(আয়াত নং: ১৯ থেকে ৩১)১৯. মহাকাশ এবং পৃথিবীতে যারাই আছে সবাই তাঁর। তাঁর কাছে যারা রয়েছে তারা তাঁর ইবাদতের ব্যাপারে অহংকার করে না এবং ক্লান্তিও বোধ করে না।২০. তারা তাঁর তসবিহ করে, রা.......
বিস্তারিত পড়ুনওমর ইবনু খাত্তাব রা. হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমরা যদি আল্লাহ তায়ালার উপর এমনভাবে তাওয়াক্কুল করতে আরম্ভ কর যেমন তাওয়াক্কুলের হক রয়েছে তবে তোমাদেরকে.......
বিস্তারিত পড়ুনবর্তমানে রোহিঙ্গাদের অবস্থা রোহিঙ্গা নিয়ে সর্বদলীয় কমিটি গঠনের প্রস্তাব সংসদে
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সংসদে বিশেষভাবে আলোচনা করে প্রস্তাব গ্রহণ এবং একটি সর্বদলীয় কমিটি গঠন করার আহ্বান জানিয়েছেন সিনিয়র সংসদ সদস্যরা। প্রয়োজনে কমিটি ভারত, চীন, মিয়ানমার ও জাতিসঙ্ঘ সফর করে প্রতিবেদন তৈরী করে তা সংসদে পেশ করবে। তারা বলেন, এটি শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়, এটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। এই সমস্যা সমাধান দ্বিপক্ষীয়ভাবে হবে না, জাতিসঙ্ঘসহ ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগ প্রয়োজন। তারা বলেন, আর কত দিন আমরা এই বোঝা বহন করব। মিয়ানমারের সাথে আমাদের যে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছিল তা যথাযথ ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা দরকার। রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে নতুন সংসদ এবং বর্তমান সরকারের অবস্থান কী তা দেশবাসী ও বিশ্বকে জানানো উচিত।
সরকারি দলের সিনিয়র সদস্য সাবেক মন্ত্রী মো: নাসিম, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর নিয়ে সম্প্রতি এই আহ্বান জানান। এ সময় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া বৈঠকে সভাপতিত্ব করছিলেন। মাগরিবের বিরতির পর প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্যরা রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেন।
মো: নাসিম বলেন, আজকে একটি পত্রিকায় হেডলাইন আছে, বিশ্বের সব রোহিঙ্গা বাংলাদেশকে নিরাপদ আশ্রয়স্থল মনে করছে। মিয়ানমারের পর এখন ভারত ও সৌদি আরব থেকেও রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসছে। গতকালের সংবাদপত্রে রয়েছে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিয়ে সম্মানের সাথে ফিরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর বিশেষ দূত হলিউড অভিনেত্রী এঞ্জেলা জোলি। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে। বক্তারা বলেন, এ ব্যাপারে প্রশ্নোত্তরে প্রধানমন্ত্রী সরকারের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে বলেছেন ইউরোপে শরণার্থী নিতে ধনী দেশগুলো ভয় পেয়েছিল, আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি স্বপ্লোন্নত দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েও মায়ের মমতা নিয়ে ২০১৬ সালে এসব রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিলেন। এখন ১১ লাখ রোহিঙ্গা আছে বাংলাদেশে। এ জন্য তিনি মাদার অব হিউমিনিটি হয়েছেন। আমরা বলতে চাই, আর কত দিন এই বোঝা বহন করব? সারা দুনিয়া কথা দিয়েছে। অনেকে এখানে এসে সার্ভিস দিয়েছে। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি। যেহেতু সংসদ চলছে, রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের পরে একটি দিন নির্ধারণ করুন, যেখানে আমরা সব দল মিলে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে আমাদের করণীয় কী, সরকারের পদক্ষেপগুলো কী, আলোচনা করা দরকার। এটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা ১৬ কোটি মানুষ। তার মধ্যে ১১-১২ লাখ রোহিঙ্গার বোঝা। এই কয়েক বছরের মিয়ানমারের অনীহার কারণে মাত্র তিনজন ফেরত গেছে। তাই অনুরোধ করব, একটি বিশেষ আলোচনার ব্যবস্থা করা হোক। আমরা সব দল আছি, সরকারি-বিরোধী দল আছি। আমরা আলোচনা করে মতামত দেই। প্রয়োজনে সংসদীয় কমিটি গঠন করে সব দল থেকে প্রতিনিধি নিয়ে ভারত, চীন, মিয়ানমারে গিয়ে আলোচনা করে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে। এভাবে চলতে পারে না।
রাশেদ খান মেনন, মো: নাসিমের প্রস্তাব সমর্থন করে বলেন, এই দ্বিপক্ষীয় যে চুক্তি আমরা মিয়ানমারের সাথে করেছিলাম এ বিষয়টি কতখানি যথাযথ ছিল তা খতিয়ে দেখা দরকার। আমার নিজের কাছে মনে হয়েছে সেখানে একটি শর্ত ছিল স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তন করলে পরেই তারা ফিরে যাবেন। এই স্বেচ্ছা শব্দটি যখনই যুক্ত করা হয়েছে তখনই সেটি বাংলাদেশের পক্ষে ছিল না বলে আমি মনে করি। আমি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দোষ দিচ্ছি না। কিন্তু এইটুকু বলতে চাই, আন্তর্জাতিক বন্ধুরা যে পরামর্শ দিয়ে মনে করেছেন সমস্যার সমাধান করবেন তা তারা তাদের রাজনীতি করেছেন আমাদের রাজনীতি করেননি। এই সমস্যা চলতে পারে না। মিয়ানমার কখনো ফিলিস্তিনের মতো হতে পারে না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী যেটা বলেছেন আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, শুধু আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নয়, সামাজিক স্থিতিশীলতাও সমস্যা। দেশের ইয়াবা নিয়ে অভিযোগ চলছে। ট্র্যাক টু ডিপ্লোমেসি বলে একটি কথা আছে। সরকারের বাইরে যারা আছেন তারাও এই ইস্যুতে সহযোগিতা করতে পারেন। আমরা দেখেছি পার্বত্য শাস্তিচুক্তির সময় এই ট্র্যুাক টু ডিপ্লোমেসি কাজ করেছে।
হাসানুল হক ইনু বলেন, একাদশ সংসদ যাত্রা শুরু করেছে। জনগণের প্রতিনিধিরা আজকে যারা সংসদে বসে আছেন তারা বিশ্ববাসীর কাছে বলা দরকার, রোহিঙ্গা বিষয়টা আমরা কিভাবে দেখছি। সে জন্য আমি মনে করি মো: নাসিমের প্রস্তাব আলোচনার জন্য একটা দিন ধার্য করুন। জনপ্রতিনিধিরা রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কী দৃষ্টিভঙ্গী পোষণ করেন তা দেশবাসীকে এবং বিশ্ববাসীকে জানানো উচিত। একই সাথে সরকারের প্রতিও একটি দিকনির্দেশনামূলক প্রস্তাব এখানে পাস করা হোক। তিনি প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে বলেন, এর একটি ইতিবাচক সমাধান দরকার। এ সমস্যা বাংলাদেশের সমস্যা নয়, এটি আন্তর্জাতিক সমস্যা।
নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী বলেন, চট্টগ্রামের অবস্থা ভয়াবহ। কক্সবাজার আরো সমস্যার মধ্যে আছে। এই সমস্যা দূর করার জন্য সর্বদলীয় কমিটি করার প্রস্তাব করছি।