সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়(সংস্কার: নভেম্বর-ডিসেম্বর 2021)মহামারী। প্যানডেমিক। করোনা কাল। করোনায় কেড়ে নিল প্রায় দু'টি বছরের চেয়েও বেশি সময়। ২০২০ সালে করোনাকালের লকডাউনের কথা স্মৃতি হয়ে আজও সমাজের প্রতিটি মানুষের মধ্যে.......

বিস্তারিত পড়ুন

আল-কুরআন

নভেম্বর-ডিসেম্বর2021(আয়াত নং: ১৯ থেকে ৩১)১৯. মহাকাশ এবং পৃথিবীতে যারাই আছে সবাই তাঁর। তাঁর কাছে যারা রয়েছে তারা তাঁর ইবাদতের ব্যাপারে অহংকার করে না এবং ক্লান্তিও বোধ করে না।২০. তারা তাঁর তসবিহ করে, রা.......

বিস্তারিত পড়ুন

আল-হাদীস

ওমর ইবনু খাত্তাব রা. হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমরা যদি আল্লাহ তায়ালার উপর এমনভাবে তাওয়াক্কুল করতে আরম্ভ কর যেমন তাওয়াক্কুলের হক রয়েছে তবে তোমাদেরকে.......

বিস্তারিত পড়ুন

নামাজ কায়েম কর : যাকাত প্রদান কর

শামীমা আকতার

"তোমরা নামাজ কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর, এবং রুকুকারীদের সাথে রুকু কর"। (বাক্বারা: ৪৩) যাকাত আরবী শব্দ। যাকাত শব্দের আভিধানিক অর্থ প্রবৃদ্ধি, পবিত্রতা, পরিচ্ছন্নতা ও পরিশুদ্ধি। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভে একটি হলো যাকাত। আল কুরআনে নামাজের নির্দেশ যেমন ৮২ বার রয়েছে, অনুরূপ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যাকাতের নির্দেশনাও রয়েছে। পবিত্র কুরআনে যাকাত শব্দটির উল্লেখ আছে ৩২ বার। এর দ্বারা জাকাতের গুরুত্ব অনুধাবন করা যায়। রমজানের সঙ্গে যাকাতের সম্পর্ক সুনিবিড়। কারণ, পবিত্র রমজান মাসেই যাকাত প্রদান করা হয়।
অনেকে যাকাতের অর্থে শাড়ি, লুঙ্গি ইত্যাদি ক্রয় করে তা বন্টন করে থাকেন। এভাবে যাকাত দিলে যাকাতের প্রকৃত উদ্দেশ্য ব্যহত হয়। অর্থাৎ এভাবে যাকাত বন্টন করলে যাকাত গ্রহণকারীর তেমন কোনো উপকার হয়না। তাই যাকাত বন্টনের উত্তম পন্থা হলোঃ যাকাত যাদেরকে প্রদান করা যায়, তাদের একজনকেই বা একটি পরিবারকেই যাকাতের সম্পূর্ণ অর্থ দিয়ে স্বাবলম্বী করে দেয়া। অনেকে যাকাতের অর্থে স্বল্প মূল্যের বা নিম্নমানের শাড়ি এবং লুঙ্গি কিনে তা প্রদান করে থাকেন। এটা একদমই উচিত নয়। এভাবে যাকাত প্রদান করা ঠিক নয়। মাইকিং করে, ব্যানার টাঙিয়ে তারা এসব নিম্নমানের শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ করে থাকে। এভাবে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে যাকাত প্রদান করা ঠিক নয়। এর ফলে অনেক দুর্ঘটনাও ঘটে। যাকাতের কাপড় আনতে গিয়ে অনেকে আহত হয়, আবার অনেক মানুষ মারাও যায়। গত বছর রমজান মাসে এমন এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল। যাকাতের কাপড় আনতে গিয়ে অনেক মানুষ নিহত ও আহত হয়েছিল। আহত এবং নিহত মানুষদের দায়ভার যাকাত প্রদানকারীরা গ্রহণ করেন না। নিয়ম হচ্ছে যাকাত গ্রহণকালে কেউ আহত কিংবা নিহত হলে তার সমস্ত দায়ভার যাকাতদাতা গ্রহণ করবে। যাকাতদাতার কর্র্তব্য হচ্ছে আহত ব্যক্তিদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং নিহত ব্যক্তিদের নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্ষতিপূরণ প্রদান করা। কাপড়ের দোকানে যাকাতের জন্য আলাদাভাবে কমদামি ও নিম্নমানের কাপড় রাখা থাকে। যাকাত প্রদানের জন্য এসব নিম্নমানের কাপড় বিশেষভাবে তৈরি করা হয়। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
যাকাতের জন্য কেন আলাদাভাবে নিম্ন মানের কাপড় তৈরি করা হবে? কেন সেগুলো বিক্রি করা হবে? আর কেনই বা সেসব নিম্ন মানের কাপড় দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা হবে?
প্রত্যেক সম্পদশালী বা ধনী মুসলমানের যাকাত প্রদান করা উচিত। যাকাত দানে যাকাতদাতার সম্পদ কমে না বরং বৃদ্ধি পায় এবং তার অন্তর কৃপণতার কলুষতা থেকে পবিত্রতা লাভ করে। তাই যাদের উপর যাকাত ফরজ, তাদের সবার যাকাত প্রদান করা উচিত। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো সবাই যাকাত দেয় না। সবাই সঠিকভাবে এবং সঠিক নিয়মে যাকাত প্রদান করলে দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমে যেত। তাই যাদের উপর যাকাত ফরজ, তাদের প্রত্যেকের যাকাত প্রদান করা উচিত। তবে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে, নিম্ন মানের শাড়ি ও লুঙ্গি দিয়ে নয়, যাকাত প্রদান করতে হবে সঠিকভাবে এবং সঠিক নিয়মে। ইসলামে যাকাত প্রদানের যে নির্দেশনা বা নিয়ম আছে, ঠিক সেইভাবে যাকাত প্রদান করতে হবে। যাকাতের নামে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে নিম্ন মানের শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ করে আর দরিদ্র মানুষদেরকে হত্যা করা নয়। যাকাতের নামে আর কোনো প্রহসন নয়। যাকাত দিন সঠিকভাবে এবং সঠিক নিয়মে।