সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়(সংস্কার: নভেম্বর-ডিসেম্বর 2021)মহামারী। প্যানডেমিক। করোনা কাল। করোনায় কেড়ে নিল প্রায় দু'টি বছরের চেয়েও বেশি সময়। ২০২০ সালে করোনাকালের লকডাউনের কথা স্মৃতি হয়ে আজও সমাজের প্রতিটি মানুষের মধ্যে.......

বিস্তারিত পড়ুন

আল-কুরআন

নভেম্বর-ডিসেম্বর2021(আয়াত নং: ১৯ থেকে ৩১)১৯. মহাকাশ এবং পৃথিবীতে যারাই আছে সবাই তাঁর। তাঁর কাছে যারা রয়েছে তারা তাঁর ইবাদতের ব্যাপারে অহংকার করে না এবং ক্লান্তিও বোধ করে না।২০. তারা তাঁর তসবিহ করে, রা.......

বিস্তারিত পড়ুন

আল-হাদীস

ওমর ইবনু খাত্তাব রা. হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমরা যদি আল্লাহ তায়ালার উপর এমনভাবে তাওয়াক্কুল করতে আরম্ভ কর যেমন তাওয়াক্কুলের হক রয়েছে তবে তোমাদেরকে.......

বিস্তারিত পড়ুন

রো হি ঙ্গা প্র স ঙ্গ

রাখাইনে ফের কিয়ারেন্স  অভিযান

মিয়ানমারের রাখাইনে নতুন করে তথাকথিত ক্লিয়ারেন্স অভিযান শুরু করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।  মিয়ানমারের সেনাপ্রধানের কার্যালয় নতুন দফায় এ অভিযান শুরু করার বিষয়টি জানিয়েছে। স্থানীয় চার বৌদ্ধের ওপর হামলা ও দু’জন নিহতের ঘটনাকে অজুহাত করে এ অভিযান শুরু করা হয়েছে। একটি হামলায় স্থানীয় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে দায়ী করা হচ্ছে। রাখাইনের উত্তরাঞ্চলীয় পিয়ু মা ক্রিকে এ সহিংসতার ঘটনা ঘটে ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮। এখানেই মিয়ানমার সেনাবাহিনী সহিংস অভিযান পরিচালনা করেছিল।  জাতিসঙ্গের তদন্তকারীরা বলেছেন, ওই অভিযানে নৃশংসতার কারণে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের গণহত্যার দায়ে বিচার হওয়া উচিত। মিয়ানমার সেনাপ্রধান মিন অং হাংয়ের কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী আবার সক্রিয় হয়েছে এবং পিয়ু মা ক্রিক এলাকায় ক্লিয়ারেন্স অভিযান শুরু করেছে। দুই আদিবাসী বৌদ্ধ মাছ ধরতে গিয়ে ফিরে না আসা ও দুই দিন পর গলাকাটা অবস্থায় তাদের লাশ উদ্ধারের পর এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ১৭ ডিসেম্বর মাছ ধরার সময় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী আরো দুই ব্যক্তি হামলার শিকার হন। ‘বাংলা ভাষায় কথা বলা’ ছয় ব্যক্তি এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে ওই দুই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় এবং স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। মিয়ানমার সেনাপ্রধানের কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষ এখনো হামলাকারীদের পরিচয় জানে না। এ দিকে মিয়ানমারের সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর অভিযানকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন সিনেটরদের উভয়দলীয় কয়েকজন সদস্য। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে দেয়া এক চিঠিতে এ আহ্বান জানান তারা। মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েকটি সীমান্তচৌকিতে কথিত রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলাকে অজুহাত করে রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে কঠোর অভিযান শুরু করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এ দমনাভিযানের মুখে ২০১৭ সালে আগস্ট থেকে সাত লাখেরও বেশী রোহিঙ্গা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর এ দমনাভিযানকে জাতিগত নির্মূল অভিযান বলে বর্ণনা করেছে জাতিসঙ্ঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অন্যরা। তবে জাতিগত নির্মূল অভিযানের অভিযোগ অস্বীকার করেছে মিয়ানমার। মার্কিন সিনেটরদের ওই গ্র“পটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেওর কাছে পাঠানো একটি চিঠিতে বলেছেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব রিপোর্টে গণহত্যার পরিষ্কার প্রমাণ উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও মন্ত্রণালয় গণহত্যার অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে দৃঢ় আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত না নেয়ায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’ মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর পদক্ষেপ নিয়ে একটি আনুষ্ঠানিক অবস্থান নেয়ার জন্য পম্পেওর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ওই সিনেটররা। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘সন্ত্রাস ছড়ানো, তাড়িয়ে দেয়া এবং রাখাইনের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নির্মূল করা-উত্তর রাখাইন রাজ্যের এসব সহিংসতা কোনো প্রশ্ন ছাড়াই গণহত্যার সংজ্ঞার সাথে খাপ খায়।’ চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ওই পদক্ষেপকে আনুষ্ঠানিকভাবে গণহত্যা আখ্যা দিতে ব্যর্থ হওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য ‘সত্য বলা ও দায়িত্ব’ অস্বীকার করা হবে এবং ‘মানবাধিকার, মর্যাদা ও জবাবদিহিতার প্রচার ও এগিয়ে নেয়ার বিষয়ে’ মার্কিন জাতির উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে ‘কলঙ্ক লেপন’ করা হবে। সিনেটের ফরেন রিলেশন্স কমিটির প্রধান ডেমোক্র্যাট সিনেটর বব মেনেনডেজ, রিপাবলিকান সিনেটর মার্কো রুবিও ও সুসান কলিন্স এবং ডেমোক্র্যাট সিনেটর এড মার্কি, টিম কেইন, বেন কার্ডিন ও জেফ মার্কলি চিঠিটিতে স্বাক্ষর করেছেন। সেপ্টেম্বরে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটিও মিয়ানমারের সামরিক অভিযানকে ‘একটি গণহত্যা’ ঘোষণার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল। রয়টার্স, এএফপি।

রোহিঙ্গাদের চলাচল নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বহিরাগত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নির্বাচনী এলাকায় গমনাগমন নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যাতে তারা ক্যাম্পের চৌহদ্দি থেকে বের হতে না পারে অথবা অন্যত্র গমন করতে  না পারে। সম্প্রতি নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনাটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, কক্সবাজার, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার, চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা, চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, কক্সবাজার পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।