সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়(সংস্কার: নভেম্বর-ডিসেম্বর 2021)মহামারী। প্যানডেমিক। করোনা কাল। করোনায় কেড়ে নিল প্রায় দু'টি বছরের চেয়েও বেশি সময়। ২০২০ সালে করোনাকালের লকডাউনের কথা স্মৃতি হয়ে আজও সমাজের প্রতিটি মানুষের মধ্যে.......

বিস্তারিত পড়ুন

আল-কুরআন

নভেম্বর-ডিসেম্বর2021(আয়াত নং: ১৯ থেকে ৩১)১৯. মহাকাশ এবং পৃথিবীতে যারাই আছে সবাই তাঁর। তাঁর কাছে যারা রয়েছে তারা তাঁর ইবাদতের ব্যাপারে অহংকার করে না এবং ক্লান্তিও বোধ করে না।২০. তারা তাঁর তসবিহ করে, রা.......

বিস্তারিত পড়ুন

আল-হাদীস

ওমর ইবনু খাত্তাব রা. হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমরা যদি আল্লাহ তায়ালার উপর এমনভাবে তাওয়াক্কুল করতে আরম্ভ কর যেমন তাওয়াক্কুলের হক রয়েছে তবে তোমাদেরকে.......

বিস্তারিত পড়ুন

বিভিন্ন সূরা ও আয়াতের ফজিলত

পবিত্র কুরআন মাজিদের বিভিন্ন সূরা ও অয়াতের ফজিলত সহীহ হাদীসের আলোকে বর্ণিত হয়েছে। সূরা ফাতিহা, সূরা মূলক, সূরা বাক্বারা শেষ দুই আয়াত, অয়াতুল কুরসী, সূরা আল-ক্বাহাফ, সূরা ইখলাস, ফালাক, নাস “উপরোক্ত সূরা এবং আয়াতের সংক্ষিপ্ত ফজিলত নিম্নে উপস্থাপন করা হলোঃ

ফজিলতঃ ০১ সূরা ফাতিহা: রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, “সূরা ফাতিহা’ কে আল্লাহ তা’আলা তার ও বান্দার মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন, বান্দা যখন নামাযে সূরা ফাতিহা পাঠ করে প্রতিটি আয়াতের জবাব আল্লাহ তা’আলা নিজে দেন: সুরা ফাতিহা রোগ সারায়।

ফজিলতঃ ০২ সূরা মূলক: রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, ‘সূরা মুলক’ তার পাঠকারীর জন্য সুপারিশ করবে এবং শেষঅবধি পাঠক কে ক্ষমা করে দেওয়া হবে :

ফজিলতঃ ০৩ সূরা বাক্বারার শেষ দুই আয়া : রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, “যে ব্যক্তি রাতে ‘সূরা বাক্বারা’র শেষ ২টি আয়াত পাঠ করবে, তার জন্য ঐ রাতে অপ্রীতিকর জিনিসের মোকাবেলায় ঐ দু’টি আয়াতই যথেষ্ট হবে অথবা তাহাজ্জুদের সালাত থেকে যথেষ্ট হবে:

ফজিলতঃ ০৪ আয়াতুল কুরসী: রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, “কুরআনের সবচেয়ে বড় মর্যাদাপূর্ণ আয়াত ‘আয়াতুল কুরসী’। “যে ব্যক্তি ঘুমানোর সময় আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে তার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন রক্ষক নিযুক্ত করা হবে এবং সকাল পর্যন্ত তার কাছে শয়তান আসতে পারবে না।

“যে ব্যক্তি প্রতি ফরয নামায শেষে আয়াতুল কুরসী পড়ে, তার জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া কোন কিছু বাধা হবে না!

ফজিলতঃ ০৫ সূরা আল-ক্বাহাফ: রাসূলুল্লাহ সা, বলেন, “যে ব্যক্তি ‘সূরা আল্-কাহাফ’-এর প্রথম ১০ আয়াত মুখস্ত করে সে দাজ্জালের ফিৎনা হতে নিরাপদ থাকবে, শেষ ১০ আয়াতের ব্যাপারেও উল্লিখিত ফজিলতের বর্ণনা রয়েছে।

“যে ব্যক্তি জুমু’আর দিনে ‘সূরা আল-কাহাফ’ পাঠ করবে, তার জন্য মহান আল্লাহ্ দুই জুমু’আর মাঝে নূর আলোকিত করবেন।

ফজিলতঃ ০৬ সূরা ইখলাস: রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, “সূরা ইখলাস’ কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমতুল্য ‘কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ’ এর প্রতি ভালবাসা পাঠক কেহ জান্নাতে প্রবেশ করাবে।”

ফজিলতঃ-০৭ সূরা ইখলাস: রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, “যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় ‘সুরা ইখলাস’ সুরা ফালাক্ব এবং ‘সুরা নাস’ তিনবার করে পড়লো ঐ ব্যক্তি যে কোন (ক্ষতিকর) জিনিস থেকে নিরাপত্তার জন্য এটা যথেষ্ট হবে।

(তথ্য পঞ্জীঃ-

১) মুসলিম ৯০৪, মিশকাত ৮২৩, বুখারী ৫৭৩৬।

২) আবু দাউদ ১৪০০, ইবনু মাজাহ ৩৭৮৬।

৩) রিয়াযুস স্বলেহীন ১০২৪, বুখারী ৪০০৮।

৪) বুখারী ২৩১১, সহীহ আল্ জামে ৬৪৬৪।

৫) মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিজি, নাসাঈ ও মুসনাদে আহমদ, ইমাম নাসাঈ ও বায়হাকী।

৬) মুসলিম ৮১২, তিরমিযী ২৯০১।

৭) তিরমিযী ৩৫৭৫, আবূ দাউদ ৫০৮২, নাসয়ী ৫৪২৮, ৫৪২৯।)