সম্পাদকীয়(সংস্কার: নভেম্বর-ডিসেম্বর 2021)মহামারী। প্যানডেমিক। করোনা কাল। করোনায় কেড়ে নিল প্রায় দু'টি বছরের চেয়েও বেশি সময়। ২০২০ সালে করোনাকালের লকডাউনের কথা স্মৃতি হয়ে আজও সমাজের প্রতিটি মানুষের মধ্যে.......
বিস্তারিত পড়ুননভেম্বর-ডিসেম্বর2021(আয়াত নং: ১৯ থেকে ৩১)১৯. মহাকাশ এবং পৃথিবীতে যারাই আছে সবাই তাঁর। তাঁর কাছে যারা রয়েছে তারা তাঁর ইবাদতের ব্যাপারে অহংকার করে না এবং ক্লান্তিও বোধ করে না।২০. তারা তাঁর তসবিহ করে, রা.......
বিস্তারিত পড়ুনওমর ইবনু খাত্তাব রা. হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমরা যদি আল্লাহ তায়ালার উপর এমনভাবে তাওয়াক্কুল করতে আরম্ভ কর যেমন তাওয়াক্কুলের হক রয়েছে তবে তোমাদেরকে.......
বিস্তারিত পড়ুনআল্লাহর ইবাদতে মনোযোগ ঠিক রাখার ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো সহযোগী হতে পারে, যেমন:
১। ইবাদতে ভিন্নতা আনাঃ অর্থাৎ ব্যক্তি বিভিন্ন প্রকারের ইবাদত করবেন: যেমন- নামায পড়া, কুরআন তিলাওয়াত করা, যিকর করা, দান করা, পিতামাতার আনুগত্য করা, আত্মীয়স্বজনের সাথে সম্পর্ক রাখা, রোগী দেখতে যাওয়া, মৃতব্যক্তির জানাযা, দাফন-কাফনে অংশগ্রহণ করা ইত্যাদি। আল্লাহ্র রহমত ও অনুগ্রহে অনেক ধরনের ইবাদত রয়েছে।
২। আমল করার সময় ধৈর্যের সাথে নিয়ত ঠিক রাখাঃ
ইবনুল কাইয়্যেম (রাহ.) ‘উদ্দাতুস সাবেরীন’ পুস্তকে (৬৫-৬৬ পৃ.) বলেন: “কর্মকালীন সময় ধৈর্য: বান্দা আমলে কোন ঘাটতি করা কিংবা অবহেলা করার প্রণোদনাগুলোর বিপরীতে ধৈর্যকে চলমান রাখবে। নিয়তকে ধরে রাখা ও মাবুদের সামনে নিজের অন্তরকে উপস্থিত রাখার ক্ষেত্রেও ধৈর্যকে অব্যাহত রাখবে। মাবুদের নির্দেশ পালন করার সময় মাবুদকে ভুলে যাবে না। উদ্দেশ্য এটা নয় যে, নির্দেশিত কর্মটি পালন করা। বরং উদ্দেশ্য হচ্ছে- নির্দেশিত কর্মটি পালনকালে নির্দেশকারীকে ভুলে না যাওয়া। বরং নির্দেশকারীর স্মরণকে উপস্থিত রেখে নির্দেশটি পালন করবে।
এটাই হল আল্লাহ্র খালিস বান্দাদের ইবাদত। ইবাদতের পরিপূর্ণ হক আদায় করার জন্য ধৈর্যের প্রয়োজন; ঠিকমত রুকনগুলো আদায় করা, ওয়াজিবগুলো আদায় করা, সুন্নতগুলো আদায় করা, মাবুদের (উপাস্যের) স্মরণকে অব্যাহত রাখা। তাঁর ইবাদত পালনকালে তাঁর থেকে অন্যমুখী না হওয়া। অন্তর দিয়ে আল্লাহ্র সাথে থাকতে গিয়ে অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো তাঁর ইবাদত পালনে বিকল হবে না। যেমনিভাবে অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলোর ইবাদত পালন তাকে অন্তর দিয়ে মাবুদের সামনে উপস্থিত থাকা থেকে বিরত রাখবে না।”
৩। দোয়াতে যত্মবান হওয়াঃ
আল্লাহ্র সঙ্গিত্ব লাভের সবচেয়ে বড় উপায় হচ্ছে— দোয়া এবং আল্লাহ্র পক্ষ থেকে বান্দার জন্য সাহায্য।
৪। আমলটি ছেড়ে না দেয়াঃ
কারণ শয়তানের ফন্দিগুলোর মধ্যে অন্যতম হল মনোযোগ না থাকার কারণে মানুষকে আমল থেকেই বিমুখ করা। তাই মুমিনের উচিত সতর্ক থাকা ও আমল চালিয়ে যাওয়া।
৫। ইবাদতের জন্য পূর্বপ্রস্তুতি নেয়া এবং মনোযোগ নষ্ট হওয়ার উপকরণগুলো থেকে দূরে থাকাঃ
আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “কেউ যেন খাবার উপস্থিত রেখে নামায না পড়ে এবং পেশাব-পায়খানা আটকে রেখে নামায না পড়ে।” (সুনান আবু দাউদ) ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।