সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়(সংস্কার: নভেম্বর-ডিসেম্বর 2021)মহামারী। প্যানডেমিক। করোনা কাল। করোনায় কেড়ে নিল প্রায় দু'টি বছরের চেয়েও বেশি সময়। ২০২০ সালে করোনাকালের লকডাউনের কথা স্মৃতি হয়ে আজও সমাজের প্রতিটি মানুষের মধ্যে.......

বিস্তারিত পড়ুন

আল-কুরআন

নভেম্বর-ডিসেম্বর2021(আয়াত নং: ১৯ থেকে ৩১)১৯. মহাকাশ এবং পৃথিবীতে যারাই আছে সবাই তাঁর। তাঁর কাছে যারা রয়েছে তারা তাঁর ইবাদতের ব্যাপারে অহংকার করে না এবং ক্লান্তিও বোধ করে না।২০. তারা তাঁর তসবিহ করে, রা.......

বিস্তারিত পড়ুন

আল-হাদীস

ওমর ইবনু খাত্তাব রা. হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমরা যদি আল্লাহ তায়ালার উপর এমনভাবে তাওয়াক্কুল করতে আরম্ভ কর যেমন তাওয়াক্কুলের হক রয়েছে তবে তোমাদেরকে.......

বিস্তারিত পড়ুন

বাল্য বিয়ের শিকার ১২৪২

মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসাগুলোর তালিকা অনুযায়ী টাংগাইল জেলার ১২টি উপজেলায় করোনাকালীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সময় বাল্য বিয়ের শিকার হয়েছেন ১ হাজার ২৪২ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ১ হাজার ২৪০ ছাত্রী ও ২ ছাত্র রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার লায়লা খানম। তবে বাস্তবে কয়েকগুণ বেশি শিক্ষার্থী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে বলে জানা গেছে। শুধু মাধ্যমিকে নয় প্রাথমিকেও বাল্য বিয়ে হয়েছে অনেক শিক্ষার্থী। কিন্তু বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে যে তথ্য দেয়া হয়েছে তাতে কোন শিক্ষার্থী বাল্য বিয়ের শিকার হয়নি বলে জানিয়েছেন জেলা শিক্ষা অফিসার মো.আব্দুল আজিজ মিয়া।

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, বাল্যবিয়ের শিকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চরাঞ্চলের হুগড়া হাবিব কাদের উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রায় ৫০ জন, কালিহাতীর ফিরোজ নগরের গান্ধিনা এলাকার ফেরদৌস আলম ফিরোজ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪২ জন, ভূঞাপুর উপজেলার চরাঞ্চল গাবসারা ইউনিয়নের রায়ের বাসালিয়ার কুলসুম জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৮ জন, চরগাবসারা দাখিল মাদরাসার ৩০ জন, টেপিবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৫ জন। এ রকম জেলার প্রতিটি বিদ্যালয়েই ২০ থেকে ৩০ জন বাল্য বিয়ের শিকার হয়েছে শিক্ষার্থীরা। এদের মধ্যে কেউ কেউ বিয়ের পরে স্কুলে আসলেও অধিকাংশ শিক্ষার্থীরাই আর স্কুলে আসছে না। শিক্ষকরা জানিয়েছেন, করোনাকালীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও তাদের সন্তানদের নিয়ে অনেকটা দুশ্চিন্তায় ছিলেন। অনেকেই আবার নিরাপত্তাহীনতায় ছিলেন তাই পছন্দমতো ছেলে পেয়ে গোপনেই তাদের সন্তানকে বিয়ে দিয়েছেন। তবে বাল্যবিয়ের শিকার অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে নিয়মিত অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিচ্ছে এবং পড়াশুনা করছে বলে তারা জানিয়েছে।

গোবিন্দাসী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া বাল্য বিয়ের শিকার এক স্কুল ছাত্রী জানায়, বাবা না থাকায় এবং পারিবারিক আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় ৭ম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় তার বিয়ে দেয়া হয়েছে। কর্মজীবী এক ছেলের সঙ্গে তাকে ছোট বয়সেই বিয়ে দেয়া হয় বলে জানায় ওই ছাত্রী। এ বিষয়ে শাফিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দা তাহমিনা বেগম জানান, তার প্রতিষ্ঠানে শুধু এসএসসি পরিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকেই ১৪ জনের বিয়ে হয়ে গেছে। অন্য শ্রেণীর সঠিক তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। নলশোধা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মির্জা আখলিমা বেগম জানান, এ পর্যন্ত তিনি ২৯ ছাত্রীর বাল্যবিয়ের তথ্য পেয়েছেন।