সম্পাদকীয়(সংস্কার: নভেম্বর-ডিসেম্বর 2021)মহামারী। প্যানডেমিক। করোনা কাল। করোনায় কেড়ে নিল প্রায় দু'টি বছরের চেয়েও বেশি সময়। ২০২০ সালে করোনাকালের লকডাউনের কথা স্মৃতি হয়ে আজও সমাজের প্রতিটি মানুষের মধ্যে.......
বিস্তারিত পড়ুননভেম্বর-ডিসেম্বর2021(আয়াত নং: ১৯ থেকে ৩১)১৯. মহাকাশ এবং পৃথিবীতে যারাই আছে সবাই তাঁর। তাঁর কাছে যারা রয়েছে তারা তাঁর ইবাদতের ব্যাপারে অহংকার করে না এবং ক্লান্তিও বোধ করে না।২০. তারা তাঁর তসবিহ করে, রা.......
বিস্তারিত পড়ুনওমর ইবনু খাত্তাব রা. হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমরা যদি আল্লাহ তায়ালার উপর এমনভাবে তাওয়াক্কুল করতে আরম্ভ কর যেমন তাওয়াক্কুলের হক রয়েছে তবে তোমাদেরকে.......
বিস্তারিত পড়ুন২৪ এপ্রিলঃ বিশিষ্ট সমাজসেবী, দানবীর বিদ্যুৎসাহী টাঙ্গাইলের ওয়াজেদ আলী খান পন্নী ১৩৪৩ বাংলা সালের ১২ বৈশাখ ইন্তেকাল করেন। ১২৭৬ বাংলা সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। মাতৃভাষা বাংলা ছাড়াও আরবী, ফারসী, উর্দু ও ইংরেজীতে তিনি প্রগাঢ় জ্ঞান লাভ করেন। তিনি তদানিন্তন বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার কংগ্রেস ও খেলাফত কমিটির সভাপতি নিযুক্ত হন। পরাধীন ভারতকে ইংরেজ শাসনমুক্ত করার প্রত্যয়ে গান্ধী সূচীত অসহযোগ আন্দোলনে ভূমিকা রাখতে গিয়ে তিনি ১৯২১ সালে গ্রেফতার হন ও কারাবরণ করেন। বৃটিশ সরকার মুচলেকার বিনিময়ে তাকে মুক্তি দান করে। কারামুক্তির পর জাতীয় জাগরণের স্বার্থে শিক্ষা, চিকিৎসা, সমাজসেবা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যাপক কর্ম উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তিনি তার পিতামহ সা’দত আলী খান পন্নীর নামানুসারে করোটিয়ায় কলেজ পরিচালনার জন্য সমকালীন আরেক শিক্ষাবিদ দেশপ্রেমিক প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁ সাহেবের হাতে কলেজের দায়িত্বভার অর্পণ করেন। তিনি নিজেও মসজিদ, মাদরাসা এবং দাতব্য চিকিৎসালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এ ছাড়া গরীব ছাত্রদের বৃত্তি দান, রাস্তাঘাট নির্মাণ ও সংস্কার, কূপ খনন, ইত্যাদিসহ বহু জনহিতকর কাজ সম্পন্ন করেন। ১৯৬২ সালের ২১ ফেব্র“য়ারী তিনি দেশ ও জাতির কল্যাণে তাঁর বিরাট জমিদারী দান করেছেন। হুগলির হাজী মুহসীনের পর এতবড় দানের ঘটনা আর ঘটেনি।
মুসলমানদের শিক্ষা, বাঙ্গালী সাহিত্য-সংস্কৃতি, রাজনীতি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাঁর অবদান ও সর্বশেষ প্রজার কল্যাণে তার জমিদারী দান ইত্যাদি তাঁকে এক জীবন্ত কিংবদন্তীতে পরিণত করে। জনগণের কাছে তিনি এতটাই সম্মান ও শ্রদ্ধা অর্জন করেন যে, তাঁর ডাক নামানুসারে লোকেরা তাঁকে ‘আতিয়ার চাঁদ’ বলে উপাধি দান করে।