সম্পাদকীয়(সংস্কার: নভেম্বর-ডিসেম্বর 2021)মহামারী। প্যানডেমিক। করোনা কাল। করোনায় কেড়ে নিল প্রায় দু'টি বছরের চেয়েও বেশি সময়। ২০২০ সালে করোনাকালের লকডাউনের কথা স্মৃতি হয়ে আজও সমাজের প্রতিটি মানুষের মধ্যে.......
বিস্তারিত পড়ুননভেম্বর-ডিসেম্বর2021(আয়াত নং: ১৯ থেকে ৩১)১৯. মহাকাশ এবং পৃথিবীতে যারাই আছে সবাই তাঁর। তাঁর কাছে যারা রয়েছে তারা তাঁর ইবাদতের ব্যাপারে অহংকার করে না এবং ক্লান্তিও বোধ করে না।২০. তারা তাঁর তসবিহ করে, রা.......
বিস্তারিত পড়ুনওমর ইবনু খাত্তাব রা. হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমরা যদি আল্লাহ তায়ালার উপর এমনভাবে তাওয়াক্কুল করতে আরম্ভ কর যেমন তাওয়াক্কুলের হক রয়েছে তবে তোমাদেরকে.......
বিস্তারিত পড়ুন
রোগের চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধ করা ভালো। রোগ হলে রোগীর কষ্ট, চিকিৎসা, ওষুধ ইত্যাদিতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। মানুষের সবচেয়ে প্রিয় হলো তার জীবন। তাই সবার হৃদয় জুড়ে থাকে বেঁচে থাকার বাসনা। খাদ্য ছাড়া জীবনের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। এ বিশ^চরাচরে খাদ্য ছাড়া বাঁচতে পারে এমন কোন জীব নেই। প্রতিটি জীবের জন্য চাই খাদ্য। তাই মানুষ স্বভাবগত নতুন বিষয়ে আগ্রহী থাকে। নতুনত্ব নিয়ে আসতে চায় সব ক্ষেত্রে। তাই খাদ্যের নতুন ও আকর্ষণীয় ভাব মানুষের দৃষ্টি কাড়ে। জিহ্বার স্বাদ যে অনেক সময় ক্ষতির কারণ হয়, সেটা আমাদের অনেকেরই জানা। তাই আসুন, জেনে নেই ফাস্টফুডের ক্ষতিকর দিক।
স্বাস্থ্য ঘাতী ফাস্টফুড বর্তমানে সারা বিশ্বে বাড়ছে অনেক অজানা খাদ্যবাহিত রোগ। আর এগুলোর মূল কারণ হিসাবে সামনে এসে দাঁড়িয়েছে রসনা তৃপ্তিদায়ক ফাস্টফুড। বিশ্বজুড়ে যার নাম জাঙ্কফুড। যুক্তরাষ্ট্রে খাদ্য সংশ্লিষ্ট রোগে আক্রান্ত হয় প্রায় দুই লাখ লোক। যার মধ্যে প্রায় ৫০ জন মারা যায়। বার্গার, পিজা ইত্যাদি খাবেন কি না সিদ্ধান্ত নিন। ফাস্টফুড বলতে গেলে অন্তরে যে জিনিসটি কল্পনায় আসে তা হলো বার্গার। অনেকের খুব প্রিয় এই বার্গার। বার্গার সম্পর্কে ভালো না জানা বা সঠিক না জানাই তা প্রিয় ভাব ধরে রেখেছে। আসুন জেনে নেই বার্গারের গোপন কথা। বার্গারে যে গরু বা খাসির গোশত দেয়া হয়, তার অবস্থা সম্পর্কে জানি। আমেরিকার কথা বলি, তাহলে দেশের অবস্থা বোঝা যাবে। সেখানে কিভাবে গরুর গোশত প্রস্তুত করা হয়? সেখানে একটি বিফ বার্গারে যে গোশতের কিমা থাকে তা অন্তত এক ডজন গরু এবং কখনো কখনো কয়েক শ’ পর্যন্ত গরুর গোশত মিশ্রিত থাকে। এটিও প্রমাণীত হয়েছে বিশ্ব খ্যাত দু’টো আমেরিকান ব্রান্ডের বার্গারে এত নিম্নমানের গরু বা মুরগির গোশত ব্যবহৃত হয়, তা গৃহপালিত কুকুরের খাবারেরও অযোগ্য। আর গরুর অবস্থাও তেমন পর্যবেক্ষণ করা হয় না। সেখানে চামড়া এমনকি গোবর পর্যন্ত লেগে থাকে। সাথে গোশতবাহিত জীবাণু যেমন ই-কোলাই, সালমোনেলাসহ আরো অনেক জীবাণু থাকে। এক মণ গোশত সংক্রামিত করতে একটি জীবাণুই যথেষ্ট। আর আপনি বুঝবেনই বা কিভাবে, তা আপনার কাছে আসার আগে প্রচন্ড চাপে ডিপ ফ্রাই করা হয়। আর ভাবছেন যে ফ্লেভার তা অর্জিনাল! না তা হচ্ছে যোগ করা। এক প্রকার দ্রব্য পাওয়া যায় গোশতের মতো গন্ধ দেয়। যা খেয়ে হাজার হাজার লোক খাদ্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়। সম্মানিত পাঠক একটু চিন্তা করুন, সভ্যতার সর্বোচ্চ আসনে থেকে যদি তাদের খাদ্য নিরাপত্তার এই অবস্থা হয়, তাহলে আমাদের দেশের কী অবস্থা হতে পারে। শুধু তাই নয়, ১৯৯৭ সালের আগে সে দেশে মৃত গবাধি পশুর গোশত বাজারে বিক্রি করা হতো। এক সময় বৃটেনে ম্যাডকাউ ডিজিজ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে। মার্কিন সাংবাদিক এরিক শ্লোজার টানা তিন বছর গবেষণা ও অনুসন্ধান চালিয়ে ফাস্টফুড ন্যাশন নামে একটি বই লেখেন, যাতে আমেরিকার খাদ্য ব্যবস্থার প্রমাণ রয়েছে। বইটি ২০০২ সালে প্রকাশিত হয়। গবেষকেরা দেখিয়েছেন, মানুষের শরীরে একটি আণবিক উপাদান পিজিসি-১ বিটা স্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরে প্রবেশ করলে এটি লিভারকে এলডিএল এবং ট্রাইগ্রিসারিন তৈরিতে বাধ্য করে, যা হার্ট অ্যাটাক ও উচ্চ রক্তচাপের জন্য দায়ী। ক্যান্সারের কারণও হতে পারে এই বার্গার।