সম্পাদকীয়(সংস্কার: নভেম্বর-ডিসেম্বর 2021)মহামারী। প্যানডেমিক। করোনা কাল। করোনায় কেড়ে নিল প্রায় দু'টি বছরের চেয়েও বেশি সময়। ২০২০ সালে করোনাকালের লকডাউনের কথা স্মৃতি হয়ে আজও সমাজের প্রতিটি মানুষের মধ্যে.......
বিস্তারিত পড়ুননভেম্বর-ডিসেম্বর2021(আয়াত নং: ১৯ থেকে ৩১)১৯. মহাকাশ এবং পৃথিবীতে যারাই আছে সবাই তাঁর। তাঁর কাছে যারা রয়েছে তারা তাঁর ইবাদতের ব্যাপারে অহংকার করে না এবং ক্লান্তিও বোধ করে না।২০. তারা তাঁর তসবিহ করে, রা.......
বিস্তারিত পড়ুনওমর ইবনু খাত্তাব রা. হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমরা যদি আল্লাহ তায়ালার উপর এমনভাবে তাওয়াক্কুল করতে আরম্ভ কর যেমন তাওয়াক্কুলের হক রয়েছে তবে তোমাদেরকে.......
বিস্তারিত পড়ুনকরোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্যস্ত বিশ্বে থাবা বসাচ্ছে আরেক ভয়ঙ্কর সংক্রামক রোগ যক্ষ্মা। যে রোগ ছড়িয়ে আছে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তেই। বিশ্বের সবচেয়ে ছোঁয়াচে এবং হন্তারক এ রোগ প্রতিবছরই প্রায় ১৫ লাখ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয় বলে নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। যক্ষ্মার (টিবি) বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে ঠিক করোনা ভাইরাস ঠেকানোর মতোই প্রয়োজন কন্টাক্ট ট্রেসিং, আইসোলেশন এবং অসুস্থদের জন্য কয়েক সপ্তাহ কিংবা মাসব্যাপী চিকিৎসা। কিন্তু এখন করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশ্বকে যেভাবে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হচ্ছে, তাতে যক্ষ্মা নির্ণয়, চিকিৎসা এবং এ রোগ প্রতিরোধের চেষ্টা কম গুরুত্ব পাচ্ছে। করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দেওয়া লকডাউনে মানুষের চলাফেরা, ভ্রমণসহ ওষুধ সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ার ফলেও যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে অগ্রগতি ব্যাহত হচ্ছে। এসব কারণে বেড়েই চলেছে টিবি সংক্রমণ। কয়েক বছরে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে বলে গবেষকরা আশঙ্কাও করছেন। নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছর টিবি’র সঙ্গে সঙ্গে এইচআইভি/এইডস এমন কি ম্যালেরিয়ারও বিস্তার ঘটে চলেছে। “কোভিড-১৯ আমাদের সব প্রচেষ্টা বিফল করে দেওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে; আমরা ২০ বছর আগে যেখানে ছিলাম সেখানেই আবার আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে,” বলেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বৈশ্বিক ম্যালেরিয়া কর্মসূচির পরিচালক ড. পেদ্রো। করোনা ভাইরাস আতঙ্ক এবং ক্লিনিকগুলোতে রোগীর বাড়তি চাপের কারণে টিবি, এইচআইভি, ম্যালেরিয়ার বহু রোগীই চিকিৎসা পাচ্ছে না। তার ওপর বিমান এবং সমুদ্র পথে পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা থাকায় উপদ্রুত এলাকাগুলোতে ওষুধ সরবরাহও অনেকটাই কমে এসেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এবার বিশ্বব্যাপী যক্ষ্মা, এইচআইভি এবং ম্যালেরিয়া কর্মসূচির প্রায় ৮০ শতাংশ সেবাই বিঘ্নিত হয়েছে। বিশ্বে যত যক্ষ্মা রোগী আছে তার প্রায় ২৭ শতাংশই ভারতের। দেশটিতে করোনা ভাইরাস মহামারীর শুরু থেকে এ পর্যন্ত যক্ষ্মা রোগ শনাক্ত করণ কমেছে প্রায় ৭৫ শতাংশ। দেশটির বেশীর ভাগ ক্লিনিকই এখন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করছে কেবল করোনা ভাইরাস শনাক্তে। নিউইয়র্ক টাইমস।